![]() |
| ছবি : সংগৃহীত |
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, কার্যক্রম স্থগিত থাকার কারণে আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী ব্যারোনেস জেনি চ্যাপম্যানের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন।
পরদিন শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ায় তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছে না। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর তালিকা থেকেও আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আসন্ন নির্বাচন হবে সম্পূর্ণ অংশগ্রহণমূলক। এবার প্রায় ১০ লাখ নতুন তরুণ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন—যারা গত ১৬ বছরে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি।
বৈঠকে তিনি উল্লেখ করেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে এবং এবার ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি দেখা যেতে পারে।
জুলাই সনদ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জানান, এটি দেশের জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া লাখো মানুষের প্রত্যাশা এই সনদে প্রতিফলিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের আলোচনায় নির্বাচন ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানো, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা, এবং বিমান ও সমুদ্র পরিবহন খাতে দু’দেশের অংশীদারিত্ব বাড়ানোর বিষয়েও কথা হয়।
