![]() |
| ছবি : হামজা চৌধুরী, সংগৃহীত |
ভারতকে হারিয়ে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে এক ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে নীল-সবুজদের একমাত্র গোলটি আসে ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা তরুণ মিডফিল্ডার শেখ মোরসালিনের পা থেকে। খেলার মাত্র ১১ মিনিটেই তার নিখুঁত শট বাংলাদেশকে এগিয়ে দেয়।
এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের হিসেবে এই ম্যাচ জিতলেও বাংলাদেশের অবস্থায় তেমন পরিবর্তন আসেনি। তবুও জয়টির গুরুত্ব আলাদা—কারণ ২০০৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ের পর আর কোনো অফিসিয়াল ম্যাচে ভারতকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ।
ম্যাচের শুরুতে বাংলাদেশ কিছুটা সতর্ক ছিল, ফলে আক্রমণে উঠতে সময় নেয়। বিপরীতে ভারত বেশ কয়েকবার বাংলাদেশের ডি-বক্সে ঢুকে চাপ তৈরির চেষ্টা করে, কিন্তু গোলের মুখ খুঁজে পায়নি।
ধীরে ধীরে ছন্দ ফিরে পায় হাভিয়ের কাবরেরার দল। রাকিব হোসেনের বাম দিক থেকে বাড়ানো নিচু ক্রস ধরে মোরসালিন পা ছুঁইয়ে জালের পথ খুঁজে নেন, আর পুরো স্টেডিয়াম উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে।
২০ মিনিটে গোলকিপার মিতুলের ভুলে বাংলাদেশ বিপাকে পড়লেও রক্ষাকবচ হয়ে উঠেন হামজা চৌধুরী। ভারতীয় আক্রমণভাগের বিপজ্জনক এক ক্রস তিনি মাথা ছুঁইয়ে বিপদমুক্ত করেন।
৩৪ মিনিটে মাঠে উত্তেজনা তৈরি হয় তপু বর্মণ ও ভারতের বিক্রমের ধাক্কাধাক্কিকে কেন্দ্র করে। দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তপ্ত মুহূর্ত দেখা দিলে রেফারি দুজনকেই হলুদ কার্ড দেখিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
প্রথমার্ধে আর কোনো সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি দু’দলই।
বিরতির পর ভারত আক্রমণ বাড়িয়ে খেলা শুরু করে এবং দু’বার গোলের সম্ভাবনা তৈরি করে, কিন্তু সাফল্য আসেনি। বাংলাদেশও প্রতিআক্রমণে সুযোগ খুঁজতে থাকে।
৭৮ মিনিটে তপু বর্মণের দূরপাল্লার শট ভারতের গোলরক্ষক সহজেই ধরে ফেলেন। এরপর ৮৩ মিনিটে ভারতের একজন ডিফেন্ডারের হাতে বল লাগলেও রেফারি পেনাল্টি দিতে রাজি হননি।
ম্যাচটি উপভোগ করতে গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
