অবশেষে মুখ খুললেন মেসি — বিশ্বকাপে খেলবেন নাকি বিদায় নিবেন ?

ছবি : সংগৃহীত


বিশ্বকাপে লিওনেল মেসিকে দেখা যাবে কি না—এই প্রশ্নটাই যেন ফুটবল দুনিয়ার সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছিল। কখনও সরাসরি, কখনও ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে তিনি জানিয়েছেন নিজের ভাবনা। মূল কথা—বয়স বেড়েছে, শরীরের কথাও শুনতে হয়। তবু এবার আর্জেন্টিনা সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটানোর মতো খবর দিয়েছেন মেসি নিজেই।

মার্কিন গণমাধ্যম এনবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, “বিশ্বকাপে খেলা সবসময়ই এক বিশেষ অভিজ্ঞতা। আমি অবশ্যই চাইব সেই মঞ্চে থাকতে। জাতীয় দলের সঙ্গে থেকে যতটা সম্ভব অবদান রাখতে চাই।”

তবে এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। নিজের সীমাবদ্ধতার কথাও স্বীকার করেছেন খোলামেলা ভঙ্গিতে। ২০২২ সালের পর থেকে ইনজুরির সমস্যায় ভুগছেন তিনি প্রায়ই। গত তিন বছরে বিভিন্ন চোটের কারণে প্রায় ১৫০ দিন মাঠের বাইরে ছিলেন মেসি। এমনকি কিছু সময় বাড়তি বিশ্রামও নিতে হয়েছে। যেখানে আগের বিশ্বকাপের আগে এই সংখ্যা ছিল অর্ধেকেরও কম।

২০২৬ সালের বিশ্বকাপের সময় তার বয়স হবে ৩৯ বছর। বয়স ও ফিটনেসই এখন তার সিদ্ধান্তের মূল নির্ধারক। মেসির ভাষায় — “আগামী বছর ইন্টার মিয়ামির প্রাক-মৌসুমের অনুশীলন শুরু হলে আমি প্রতিদিন নিজের শরীরকে পর্যবেক্ষণ করব। যদি দেখি ফিট আছি এবং দলে অবদান রাখতে পারব, তখনই সিদ্ধান্ত নেব।”

তবে আশা হারাচ্ছেন না তিনি “বিশ্বকাপ সবসময়ই এক স্বপ্ন। আমরা আগেরটি জিতেছি, সেটাকে ধরে রাখার সুযোগ পাওয়া দারুণ ব্যাপার হবে। আর্জেন্টিনার হয়ে এমন মঞ্চে খেলা আমার জন্য সবসময়ই গর্বের। আশা করি, সৃষ্টিকর্তা আমাকে আবারও সেই সুযোগ দেবেন।”

২০০৬ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলেছিলেন লিওনেল মেসি। ২০১৪ সালের ফাইনালের ব্যথা পেরিয়ে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে ছুঁয়েছিলেন শিরোপার শিখর। এখন ২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না জানালেও, তার বক্তব্যেই স্পষ্ট—সবকিছু নির্ভর করছে শরীর ও ফিটনেসের ওপর।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন