![]() |
| ছবি : সংগৃহীত |
রুশ বাহিনীর ওপর কৌশলগত চাপ বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে টমাহক দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, এই মুহূর্তে ইউক্রেনকে এমন কোনো ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়া হবে না, যা রাশিয়ার ভেতরে আঘাত হানতে সক্ষম।
টমাহক আসলে কী
টমাহক হলো যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অত্যাধুনিক এক ধরনের দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইল, যা ভূমি বা সাগর— দুই জায়গা থেকেই ছোড়া যায়। সাধারণত যুদ্ধজাহাজ থেকেই এটি নিক্ষেপ করা হয়। এই মিসাইল প্রায় ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। এর গতি ও পথনির্দেশনা এতটাই উন্নত যে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও সহজে একে ঠেকাতে পারে না। গভীর ভূখণ্ডে সুনির্দিষ্ট হামলার জন্য এটি অন্যতম কার্যকর অস্ত্র হিসেবে পরিচিত।
টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রের দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ ফুট এবং মাঝামাঝি অংশে দুটি ডানা রয়েছে, যার প্রস্থ সাড়ে ৮ ফুটের মতো। ওজন প্রায় ১,৫১০ কেজি। এটি পারমাণবিক নয়, বরং নন-নিউক্লিয়ার ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র। সাম্প্রতিক সময়ে ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে মার্কিন নৌবাহিনী এই অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে।
ব্যয়সাপেক্ষ অস্ত্র
টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনে বিপুল অর্থ ব্যয় হয়। পেন্টাগন সম্প্রতি ফেডারেল সরকারের কাছে যে বাজেট পেশ করেছে, তাতে ২০২৬ সালের মধ্যে ৫৭টি নতুন টমাহক মিসাইল তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য ধরা হয়েছে প্রায় ১৩ লাখ ডলার ব্যয়।
কেন ইউক্রেনের টমাহক দরকার
রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেন ইতোমধ্যে মার্কিন ও নিজস্ব তৈরি কয়েক ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে— ফ্লেমিঙ্গো, নেপচুন, হারপুন এবং এটিসিএম। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ফ্লেমিঙ্গো, যা প্রায় ১,৬০০ কিলোমিটার দূরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম। তবে রাশিয়ার আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সহজেই এটিকে আটকাতে পারে।
টমাহকের বিশেষত্ব হলো এর নিখুঁত টার্গেটিং এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করার সক্ষমতা। এই কারণেই ইউক্রেনের কাছে টমাহককে এখন গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সূত্র: রয়টার্স
