![]() |
| ছবি : সংগৃহীত |
আজকের দিনটি শিক্ষা বিভাগের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আন্দোলনরত শিক্ষক–কর্মচারীদের দাবি অনুযায়ী এমপিওভুক্তদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ১৫ শতাংশে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
মঙ্গলবার শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি. আর. আবরার ও শিক্ষক নেতৃবৃন্দের বৈঠকে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়। জানা গেছে, ভাতা বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত দুই ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে।
চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ (ন্যূনতম দুই হাজার টাকা) বাড়িভাড়া কার্যকর হবে, আর আগামী বছরের জুলাই মাস থেকে বাকি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ যুক্ত হয়ে সর্বমোট ১৫ শতাংশ বাড়িভাড়া প্রদান করা হবে।
অধ্যাপক আবরার বলেন, “এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি পূরণে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে পেরেছি। একজন শিক্ষক হিসেবে আমি এটি আমার জন্য সৌভাগ্য মনে করি।”
তিনি আরও বলেন, শিক্ষকরা জাতির মেরুদণ্ড, তাদের মর্যাদা ও জীবনমান উন্নয়নে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল ভূমিকা থাকা জরুরি।
শিক্ষা উপদেষ্টা জানান, এ পথে আসা সহজ ছিল না। মতবিরোধ, বিতর্ক ও নানা জটিলতার মধ্য দিয়েই শিক্ষা মন্ত্রণালয় ধৈর্যের সঙ্গে একটি স্থায়ী ও ন্যায্য সমাধানের জন্য কাজ করেছে।
নেপথ্যে থেকে মন্ত্রণালয় ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা বিভিন্ন দপ্তর এবং প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একযোগে কাজ করেছেন, যেন শিক্ষকদের দাবি যথাযথভাবে শোনা ও বোঝা যায়।
তার ভাষায়, “এটা কারো একার অর্জন নয়, এটি আমাদের সবার যৌথ সাফল্য। আন্দোলন আমাদের বাস্তবতা চিনিয়েছে, সরকারও দায়িত্বশীলভাবে সাড়া দিয়েছে। আজ আমরা এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়েছি, যেখানে সম্মান, সংলাপ আর সমঝোতাই জিতেছে।”
অধ্যাপক আবরার শিক্ষকদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এখন সময় শিক্ষার্থীদের কাছে ফিরে যাওয়ার, কারণ সেটিই আমাদের আসল দায়িত্বের জায়গা। আজকের এই সমঝোতা হোক পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বোঝাপড়া ও মানসম্মত শিক্ষার নতুন সূচনা।”
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও শিক্ষার মানোন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
