![]() |
| ছবি : সংগৃহীত |
এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সরকারের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী মূল বেতনের ৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িভাড়া নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, গত ৫ অক্টোবর রাতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক–১) সাইয়েদ এ. জেড. মোরশেদ আলী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা ১ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার টাকায় উন্নীত করার জন্য পূর্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা অর্থ বিভাগে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তার প্রেক্ষিতে অর্থ বিভাগ তা বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে।
তবে জীবনযাত্রার ব্যয় ও মূল্যস্ফীতির চাপ বিবেচনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখন বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের শতকরা হারে নির্ধারণের অনুরোধ জানিয়েছে। প্রস্তাবে ৫, ১০, ১৫ ও ২০ শতাংশ হারে সম্ভাব্য আর্থিক ব্যয়ের হিসাবও সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বর্তমানে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আলোচনা করছেন বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, দাবির ন্যায্যতা আদায়ে মাঠে নেমেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। বুধবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কর্মসূচি শেষে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। ফলে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শিক্ষকরা জানিয়েছেন, ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১,৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত তারা শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেবেন না।
এর আগে গত সোমবার থেকে সারাদেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। বাড়িভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে এবং পুলিশের হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে এ আন্দোলন চলছে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। তবে শিক্ষকরা এই পরিমাণ বৃদ্ধি অপ্রতুল মনে করে তা প্রত্যাখ্যান করেন। পরবর্তীতে ৬ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয় অর্থ বিভাগে নতুন প্রস্তাব পাঠায়— যাতে বাড়িভাড়া ভাতা অন্তত দুই থেকে তিন হাজার টাকায় উন্নীত করার অনুরোধ করা হয়।
