![]() |
| ছবি : সংগৃহীত |
আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে সরকারের ওপর কোনো ধরনের চাপ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যেই বারবার স্পষ্ট করেছে, আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। দেশি কিংবা বিদেশি কোনো পক্ষও তাদের ফের নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানাচ্ছে না। বরং অনেকে বিস্মিত হচ্ছেন—জুলাই আন্দোলনের ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের পরও কেন তারা অনুশোচনা করছে না।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালি এলাকার নবগঙ্গা পার্কে নির্মিত জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম আরও বলেন, ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল একই অবস্থানে রয়েছে। এবার জনগণ উৎসাহের সঙ্গে ভোট দিতে পারবে, কারণ গত দেড় দশকে তারা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিল।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে দেশে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার নির্বাচন হয়েছে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনিয়ম ছিল প্রকট। প্রতিটি ভোটেই চুরি ও প্রভাব বিস্তারের ঘটনা ঘটেছে। তখনকার সংসদ সদস্যরা ঘুষ, ঠিকাদারি আর মনোনয়ন বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েছিলেন। প্রার্থী নির্ধারণ থেকে শুরু করে আসন বণ্টন পর্যন্ত সবকিছুই টাকার বিনিময়ে হতো।
ইতিহাসের তুলনা টেনে প্রেস সচিব বলেন, ১৭৯২ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পার্মানেন্ট সেটেলমেন্টের মাধ্যমে দেশকে জমিদারদের হাতে তুলে দিয়েছিল। তেমনি আগের শাসকরাও একধরনের রাজনৈতিক জমিদারি কায়েম করেছিল। যাকে যেখানে খুশি বসিয়েছে, যেভাবে খুশি পরিচালনা করেছে।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এটি হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম শান্তিপূর্ণ, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন “একটি সত্যিকারের পিসফুল, ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল ইলেকশন।”
এর আগে তিনি জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় মাগুরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবদুল কাদের এবং সহকারী কমিশনার (আরডিসি) উম্মে তাহমিনা মিতু উপস্থিত ছিলেন।
