![]() |
| ছবি : সংগৃহীত |
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘অনুপ্রবেশের কারণে হিন্দু কমছে, মুসলিম বাড়ছে’ এমন মন্তব্যের পর বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে। এবার সেই সুরেই শামিল হলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানিয়েছেন, দেশের জনসংখ্যার পরিবর্তনের পেছনে প্রধান কারণ অনুপ্রবেশ, জন্মহার নয়।
নয়াদিল্লির এক অনুষ্ঠানে অমিত শাহ বলেন, দেশের মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির পিছনে মূল কারণ হলো পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ। তিনি দাবি করেন, মুসলিম সংখ্যা ২৪.৬ শতাংশ বেড়েছে, আর হিন্দুদের সংখ্যা ৪.৫ শতাংশ কমেছে। শাহের মতে, এটি কোনো ধর্মভিত্তিক জন্মহার পরিবর্তনের ফল নয়, বরং অনুপ্রবেশের কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
শাহ আরও জানিয়েছেন, ১৯৫১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে প্রতিটি আদমশুমারিতে এই জনসংখ্যাগত পার্থক্য দেখা গেছে। তিনি জানান, বর্তমান সরকার তিন ধাপে অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করছে, অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা, ভোটার তালিকা থেকে তাদের নাম মুছে ফেলা এবং শেষ পর্যায়ে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো।
তবে বিরোধী দলগুলো এই মন্তব্যকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যযুক্ত বলে সমালোচনা করেছে। কংগ্রেসের নেতা অজয় রাই বলেছেন, দেশের সঙ্কটাপন্ন পরিস্থিতিতে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাইছেন মন্ত্রী।
অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, অমিত শাহের এই বক্তব্য সম্পূর্ণ ভুল। তিনি উল্লেখ করেন, ২০১১ সালের আদমশুমারি পর্যন্ত মুসলিম জনসংখ্যা মাত্র ৪.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ওয়াইসি কটাক্ষ করে বলেন, “অমিত শাহের গণিত এত দুর্বল, যে ১০ জন মানুষের সংখ্যা ১০ জন বেড়ে গেলে তা ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি হিসেবে দেখানো সম্ভব।”
উল্লেখযোগ্য, স্বাধীনতা দিবসের দিনে লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদি আগে থেকেই দেশের ডেমোগ্রাফির পরিবর্তন নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, যা বিতর্কের জন্ম দেয়।
